আধো আধো বোল [ Adho adho bol ]-গানের মালা গ্রন্থটি ৯৫ টি সংগীত সমৃদ্ধ গ্রন্থটি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর (কার্তিক ১৩৪১) প্রকাশ করেন গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স। গ্রন্থটি উৎসর্গপত্রে লেখা ছিল: “পরম স্নেহভাজন শ্রীমান অনিলকুমার দাস কল্যাণবরেষুকে”। ৪+৯৬ পৃষ্ঠার গ্রন্থের মূল্য ছিল দেড় টাকা।
রাগঃ ভৈরবী-পিলু
তালঃ কাহার্বা
আধো আধো বোল গানের কথা :
আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল ব’লো কানে কানে। যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল ব’লো কানে কানে।। যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায় শরমে মরম-পাতে দোলে আন্মনা, হায় যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল ব’লো কানে কানে।। যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল। যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ — ব’লো কানে কানে।।

আধো আধো বোল স্বরলিপি –
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।

যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: