পাষাণ গিরির বাঁধন টুটে | Pashan girir badhon tute | গুল বাগিচা | নজরুল সঙ্গীত | কাজী নজরুল ইসলাম

পাষাণ গিরির বাঁধন টুটে | Pashan girir badhon tute | গুল বাগিচা গ্রন্থটির প্রকাশক গ্রেট ইস্টার্ন লাইব্রেরি। প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২৭ জুন ১৯৩৩ (১৩৪০ বঙ্গাব্দ) মূল্য এক টাকা। কবি গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন স্বদেশী মেগাফোন-রেকর্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী অন্তরতম বন্ধু জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়কে। গ্রন্থের প্রারম্ভে কাজী নজরুল ইসলাম ‘দুটি কথায়’ লেখেন, “দুই-চারিটি ছাড়া ‘গুল-বাগিচা’র গানগুলি ‘স্বদেশী মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানী’ রেকর্ড করিয়াছেন। তাঁহাদের এই অনুগ্রহের জন্য আমি অশেষ ঋণী। ‘গুল-বাগিচা’য় ঠুংরী, গজল দাদরা, চৈতী, কাজরী, স্বদেশী, কীর্তন, ভাটিয়ালি, ইসলামী ধর্মসঙ্গীত প্রভৃতি বিভিন্ন ঢং-এর গান দেওয়া হইল। আমার সৌভাগ্যবশত প্রায় সমস্ত গান গুলি ইতিমধ্যে লোকপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে।

পিলু-মিশ্র রূপক

 

পাষাণ গিরির বাঁধন টুটে | Pashan girir badhon tute | গুল বাগিচা | নজরুল সঙ্গীত | কাজী নজরুল ইসলাম

 

পাষাণ গিরির বাঁধন টুটে গানের কথা :

পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে
নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়।
ডাকছে উদার নীল পারাবার
আয় তটিনী আয় নেমে আয়॥
বেলাভূমে আছড়ে পড়ে
কাঁদছে সাগর তোরই তরে,
তরঙ্গেরই নূপুর পরে
জল-নটিনি আয় নেমে আয়॥
দুই ধারে তোর জল ছিটিয়ে
ফুল ফুটিয়ে আয় নেমে আয়,
শ্যামল তৃণে চঞ্চল অঞ্চল লুটিয়ে
আয় নেমে আয়॥
সজল যে তোর চোখের চাওয়ায়
সাগর জলে জোয়ার জাগায় –
সেই নয়নের স্বপন দিয়ে
বনহরিণী আয় নেমে আয়॥

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজন্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল।

 

পাষাণ গিরির বাঁধন টুটে

 

 

আরও পড়ুন :

Leave a Comment