নীলাম্বরী শাড়ি পরি | Nilambori sharee pori | বুলবুল (২য় খন্ড) | নজরুল সঙ্গীত | কাজী নজরুল ইসলাম

নীলাম্বরী শাড়ি পরি | Nilambori sharee pori | ১৩৫২ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (মে, ১৯৫৯) প্রমীলা নজরুল ইসলাম ১৬, রাজেন্দ্রলাল স্ট্রিট, কলিকাতা-৬, এই বুলবুল (২য় খন্ড) নামীয় সঙ্গীত গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। গ্রন্থটির পরিবেশক ছিলেন ডি এম লাইব্রেরি। মূল্য আড়াই টাকা।

নীলাম্বরী-ত্রিতাল

 

নীলাম্বরী শাড়ি পরি | Nilambori sharee pori | বুলবুল (২য় খন্ড) | নজরুল সঙ্গীত | কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম [ Kazi nazrul islam ]

নীলাম্বরী শাড়ি পরি গানের কথাঃ

 

নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায়

 ​​​​ কে যায়,​​ কে যায়,​​ কে যায়?

 ​​​​ যেন জলে চলে থল-কমলিনী

 ​​​​ ভ্রমর নূপুর হয়ে বোলে পায় পায়॥

 ​​ ​​ ​​​​ কলসে কঙ্কণে রিনিঝিনি ঝনকে,

 ​​ ​​ ​​​​ চমকায় উন্মন চম্পা বনকে,

 ​​ ​​ ​​​​ দলিত অঞ্জন নয়নে ঝলকে,

 ​​ ​​ ​​​​ পলকে খঞ্জন হরিণী লুকায়॥

 ​​​​ অঙ্গের ছন্দে পলাশ-মাধবী আশোক ফোটে,

 ​​​​ নূপুর শুনি বন-তুলসীর মঞ্জরি উলসিয়া ওঠে।

 ​​ ​​ ​​​​ মেঘ-বিজড়িত রাঙা গোধূলি

 ​​ ​​ ​​​​ নামিয়া এল বুঝি পথ ভুলি।

 ​​ ​​ ​​​​ তাহারই অঙ্গ তরঙ্গ-বিভঙ্গে

 ​​ ​​ ​​​​ কূলে কূলে নদীজল উথলায়॥

 ​​​​

হরপ্রিয়া। সাহানা!

 ​​​​ পাগলিনি-প্রায় কোথা হতে এলি?

সাহানা। হরপ্রিয়া!

 ​​​​ কুমার কিশোর রূপ দেখেছ শিবের?

 ​​​​ রেবা-নদী-তীরে আমি দেখিয়াছি।

 ​​​​ সে কি স্বপ্ন?​​ সে কি ভুল?

 ​​​​ হোক ভুল। সেই ভুল ফুল হয়ে ফুটিয়াছে মনে।

 ​​​​ সুগন্ধে ভরপুর সারা অন্তর।

হরপ্রিয়া। কোথায়,​​ কী হেরিলি সাহানা?

সাহানা। হেরিনু স্বপনে – না,​​ না,​​ স্বপ্ন নয়

 ​​​​ দিব্য আঁখি পেয়ে আমি হেরিয়াছি–

 ​​​​ নিবিড় অরণ্যে এক সুরম্য প্রাসাদে

 ​​​​ আমি যেন গাহিতেছি গান।

 ​​​​ সহসা দুয়ারে,

 ​​​​ আসিল তরুণ শিব ভিখারির বেশে।

 ​​​​ কী যেন চাহিল ভিক্ষা।

 ​​​​ তখনও সুরের ঘোর কাটেনি আমার।

 ​​​​ কী বলিয়া দিয়াছিনু তাহারে বিদায় –

 ​​​​ শুনিবে সে গান?

শেষ প্রার্থনা কবিতা । দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ । কাজী নজরুল ইসলাম | ১৯২৩
কাজী নজরুল ইসলাম [ Kazi nazrul islam ]

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজন্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল।

তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

AmarNazrul, আমার নজরুল, Logo, Profile, 3334x3334
AmarNazrul, আমার নজরুল,

 

আরও পড়ুন :

Leave a Comment