আমি ভাই খ্যাপা বাউল | Ami vai khepa baul | ডি এম লাইব্রেরি থেকে চন্দ্রবিন্দু’ গ্রন্থটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে ( ১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর ) চন্দ্রবিন্দু প্রথম প্রকাশিত হয়। মূল্য ছিল দুই টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিল এই লিখে : “পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীমদ্দাঠাকুর শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র পন্ডিত মহাশয়ের শ্রীচরণকমলে”। স্বীয় পুত্র বুলবুলের মৃত্যুর পর নজরুল তাঁর প্রধানত ; হাস্যরসাত্মক ‘চন্দ্রবিন্দু’ সংগীত গ্রন্থের প্রায় সব গান রচনা করেন।
রাগঃ
তালঃ লোফা/দাদ্রা
আমি ভাই খ্যাপা বাউল গানের কথা:
আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল, আমার দেউল আমারি এই আপন দেহ। আমার এ প্রাণের ঠাকুর নহে সুদূর অন্তরে মন্দির-গেহ।। সে থাকে সকল সুখে সকল দুখে আমার বুকে অহরহ, কভু তায় প্রণাম করি, বক্ষে ধরি, কভু তা’রে বিলাই স্নেহ।। ভুলায়নি আমারি কুল, ভুলেছে নিজেও সে কুল, ভুলে বৃন্দাবন গোকুল মোর সাথে মিলন বিরহ। সে আমার ভিক্ষা-ঝুলি কাঁধে তুলি’, চলে ধূলি-মলিন পথে, নাচে গায় আমার সাথে একতারাতে, কেউ বোঝে, বোঝে না কেহ।।

আমি ভাই খ্যাপা বাউল স্বরলিপি:
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
১৯২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। তার সাথেই তিনি প্রথম কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে যার সাথে তার প্রথমে প্রণয় ও পরে বিয়ে হয়েছিল।
আরও পড়ুন :