কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা:
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 2 কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা - Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-23-300x176.jpg)
Table of Contents
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা
অগ্নিবীণা [ ১৯২২ ]
অগ্নিবীণা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (অক্টোবর, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে – ‘প্রলয়োল্লাস (কবিতা)’, ‘বিদ্রোহী’, ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, ‘আগমণী’, ‘ধূমকেতু’, কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, ‘শাত-ইল-আরব’, খেয়াপারের তরণী’, কোরবানী’ ও মোহররম’। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে উৎসর্গ করে লেখা একটি উৎসর্গ কবিতাও আছে।
‘অগ্নি-বীণা’ প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এঁকেছিলেন তরুণ চিত্রশিল্পী বীরেশ্বর সেন। বইটির তৎকালীন মূল্য ছিল ৩ টাকা। ৭ নং প্রতাপ চ্যাটার্জি লেন থেকে গ্রন্থকার কর্তৃক গ্রন্থটি মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। প্রাপ্তিস্থান হিসেবে গ্রন্থে লেখা ছিল: ‘আর্য পাবলিশিং হাউস, কলেজ স্ট্রিট, মার্কেট (দোতলায়)’। গ্রন্থটি ছাপা হয় মেটকাফ প্রেস, ৭৯ নং বলরাম দে স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে। দাম এক টাকা।
গ্রন্থটির উৎসর্গ হচ্ছে- “বাঙলার অগ্নিযুগের আদি পুরোহিত সাগ্নিক বীর শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু”। নিচে লেখা আছে “তোমার অগ্নি-পূজারী -হে- মহিমাম্বিত শিষ্য-কাজী নজরুল ইসলাম”। অরবিন্দ ঘোষের ভ্রাতা বারীন্দ্রকুমার ঘোষ বাংলা তথা ভারতের বিপ্লববাদী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। বিপ্লবে বিশ্বাসী নজরুল তাই নিজেকে বারীন্দ্রকুমারের ‘-হে-মহিমান্বিত শিষ্য’ বলে উল্লেখ করে তাকেই তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- প্রলয়োল্লাস
- বিদ্রোহী
- রক্তাম্বর-ধারিণী মা
- আগমণী
- ধূমকেতু
- কামাল পাশা
- আনোয়ার
- রণভেরী
- শাত-ইল-আরব
- খেয়াপারের তরণী
- কোরবানি
- মোহররম
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 3 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-22-300x200.jpg)
দোলনচাঁপা [ ১৯২৩ ]
দোলনচাঁপা বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) আর্য পাবলিশি হাউস থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের দুর্গাপূজোর আগে ধুমকেতু পত্রিকায় নজরুলের ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ নামে বিদ্রোহাত্মক কবিতাটি প্রকাশের জন্য তাকে রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত কবিকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি এক বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়।
এই সময় দোলনচাঁপা কাব্যের কবিতাগুলি রচিত হয়। জেল কর্তৃপক্ষের অগোচরে পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় ওয়ার্ডারদের সাহায্যে তার সব কবিতাই বাইরে নিয়ে আসেন। কবির নির্দেশমত আর্য পাবলিশি হাউস এ কবিতাগুলো দিয়ে দোলনচাঁপা প্রকাশ করে। প্রথম সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে ১৯টি কবিতা ছিল। সূচিপত্রের আগে মুখবন্ধরূপে সংযোজিত কবিতা “আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে” ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ) জ্যৈষ্ঠ মাসের কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণে ৫০ টি কবিতা সংকলিত হয়।
প্রথম সংস্করণের কবিতাঃ
দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে ১৯টি কবিতা পত্রস্থ হয়েছিল, সেগুলো হলো :
আজ সৃষ্টিসুখের উল্লাসে (সূচিপত্রে ছিল না, সূচিপত্রের আগে মুখবন্ধরূপে ছিল)
- দোদুল্ দুল্
- বেলাশেষে
- পউষ
- পথহারা
- ব্যথা গরব
- উপেক্ষিত
- সমর্পণ
- পুবের চাতক
- অবেলার ডাক
- চপল-সাথী
- পূজারিণী
- অভিশাপ
- আশান্বিতা
- পিছু-ডাক
- মুখরা
- সাধের ভিখারিণী
- কবি-রাণী
- আশা
- শেষ প্রার্থনা
“দুটি কথা” শিরোনামে এ গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছিলেন পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়।
পরবর্তী সংস্করণঃ
দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণে ( শ্রাবণ ১৩৬১ বঙ্গাব্দ ) কবিতার অদলবদল করা হয়েছে।
প্রথম সংস্করণের পউষ, পথহারা, অবেলার ডাক, পূজারিণী, অভিশাপ, পিছু-ডাক, কবি-রাণী কবিতাগুলি বাদ দিয়ে হংসদূতী, সে যে চাতকই জানে তার মেঘ এত কি, লাল নটের ক্ষেতে, মদালস ময়ূর-বীণা কার বাজে গান, না মিটিতে সাধ মোর বেণুকা, তোমার ফুলের মত মন, বরষা, ঐ নীল গগনের নয়ন-পাতায়, মাত্লা-হাওয়া, সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়, বনমালি, বেদনা-অভিমান, নিশীথ-প্রতিম, অ-বেলায়, হার-মানা-হার, বেদনা-মণি, পরণ-পূজা, অনাদৃতা, নীলপরী, ¯েœহ-ভীতু, অকরুণপিয়া, মরমী, মুক্তি-বার, বিরাগিনী, হারামণি, প্রিয়ার রূপ, পাপড়ি-খোলা, বিধুরা পথিক, প্রিয়া, প্রতিবেশিনী, বাদল-দিনে, মনের মানুষ, কার বাঁশি বাজিল, দহনমালা, দুপুর-অভিসার, শেষের গান, রৌদ্র-দগ্ধের গান, আলতা-স্মৃতি কবিতাগুলি সংযেজিত করা হয়েছে।
এই কবিতাগুলি “ছায়ানটে”র অন্তর্গত ছিল।
সাম্যবাদী [ ১৯২৫ ]
সাম্যবাদী কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। বইটি ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে (পৌষ,১৩৩২) প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোয় বেশিরভাগই মানবিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে মোট ১১ টি কবিতা রয়েছে । সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে ।
সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- সাম্যবাদী
- ঈশ্বর
- মানুষ
- পাপ
- চোর-ডাকাত
- বারাঙ্গনা
- মিথ্যাবাদী
- নারী
- রাজা-প্রজা
- সাম্য
- কুলিমজুর
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 4 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-21.jpg)
ঝিঙে ফুল [ ১৯২৬ ]
‘ঝিঙে ফুল’ ছোটদের জন্য লেখা কবিতা নিয়ে নজরুল রচিত কাব্যগ্রন্থ। বইটিতে মোট ১৪ টি কবিতা রয়েছে ।
ঝিঙে ফুল কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- খাঁদু-দাদু
- খুকি ও কাঠবেড়ালি
- খোকার খুশি
- খোকার গপ্প বলা
- খোকার বুদ্ধি
- চিঠি
- ঝিঙে ফুল
- ঠ্যাং-ফুলি
- দিদির বে-তে খোকা
- পিলে-পটকা
- প্রভাতি
- মা
- লিচু চোর
- হোঁদলকুতকুতের বিজ্ঞাপন
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 5 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-19-300x200.jpg)
সিন্ধু হিন্দোল [ ১৯২৮ ]
সিন্ধু হিন্দোল কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি “বাহার ও নাহার”-কে (হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ও শামসুন নাহার) উৎসর্গ করেন।
ঝিঙে ফুল কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- সিন্ধুঃ প্রথম তরঙ্গ
- সিন্ধুঃ দ্বিতীয় তরঙ্গ
- সিন্ধুঃ তৃতীয় তরঙ্গ
- গোপন প্রিয়া
- অনামিকা
- বিদায় স্মরণে
- পথের স্মৃতি
- উন্মনা
- অতল পথের যাত্রী
- দারিদ্র্য
- বাসন্তি
- ফাল্গুনী
- মঙ্গলাচরণ
- বধু-বরণ
- অভিযান
- রাখী-বন্ধন
- চাঁদনী-রাতে
- মাধবী-প্রলাপ
- দ্বারে বাজে ঝঞ্জার জিঞ্জির
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 6 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-20-300x169.jpg)
চক্রবাক [ ১৯২৯ ]
চক্রবাক কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ১৯টি। এই কাব্যে নজরুল বেদনার ছবি তুলে ধরেছেন; এতে রয়েছে প্রেমের অনুভূতি এবং অতীত সুখের স্মৃতিচারণা।
চক্রবাক কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- তোমারে পড়িছে মনে
- বাদল-রাতের পাখি
- স্তব্ধ রাতে
- বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি
- কর্ণফুলী
- শীতের সিন্ধু
- পথচারী
- মিলন-মোহনায়
- গানের আড়াল
- তুমি মরে ভুলিয়াছ
- হিংসাতুর
- বর্ষা-বিদায়
- সাজিয়াছি বর মৃত্যুর উৎসবে
- অপরাধ শুধু মনে থাক
- আড়াল
- নদীপারের মেয়ে
- ১৪০০ সাল
- চক্রবাক
- কুহেলিকা
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 7 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-16-300x200.jpg)
নতুন চাঁদ চৈত্র [ ১৯৪৫ ]
নতুন চাঁদ কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে। প্রকাশক ছদরুল আনাম খান, মোহাম্মদী বুক এজেন্সী, ৮৬এ, লোয়ার সার্কুলার রোড, কলকাতা এতে রয়েছে নজরুলের ১৯টি কবিতা।
নতুন চাঁদ কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
- নতুন চাঁদ
- চির-জনমের প্রিয়া
- আমার কবিতা তুমি
- নিরুক্ত
- সে যে আমি
- অভেদম্
- অভয় সুন্দর
- অশ্রু-পুস্পাঞ্জলী
- কিশোর রবি
- কেন জাগাইলি তোরা
- দুর্বার যৌবন
- আর কতদিন
- ওঠ রে চাষী
- মোবারকবাদ
- কৃষকের ঈদ
- চাষীর ঈদ
- আজাদ
- ঈদের চাঁদ
- চাঁদনী রাতে
![কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি 8 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](http://amarnazrul.com/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-15-300x300.jpg)
মরুভাস্কর [ ১৯৫১ ]
মরুভাস্কর কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে। হজরত মোহাম্মদ সঃ এর জীবনী নিয়ে চারটি সর্গে ১৮ টি খণ্ড-কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
মরুভাস্কর কাব্যগ্রন্থের কবিতার তালিকা
প্রথম সর্গ
- অবতরণিকা
- অনাগত
- অভ্যূদয়
- স্বপ্ন
- আলো-আঁধারি
- দাদা
- পরভৃত
দ্বিতীয় সর্গ
- শৈশব-লীলা
- প্রত্যাবর্তন
- “সাক্কুস সাদ্র” (হৃদয় উন্মোচন)
- সর্বহারা
তৃতীয় সর্গ
- কৈশোর
- সত্যাগ্রহী মোহাম্মদ
চতুর্থ সর্গ
- শাদী মোবারক
- খদিজা
- সম্প্রদান
- নও কাবা
- সাম্যবাদী
আরও দেখুন: