ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক | Eid mubarak eid mubarak গানটি একটি জনপ্রিয় নজরুল সঙ্গীত। মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈদ উদযাপনকে আনন্দময় করে তুলিতে কাজী নজরুল ইসলাম এই গানটি উপহার দেন।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক | Eid mubarak eid mubarak

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
দোস্ত ও দুশমন পর ও আপন
সবার মহল আজ হউক রওনক।।
যে আছ দূরে যে আছ কাছে,
সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে।
সবারে আজ মোর পরান যাচে
সবারে জানাই এ দিল আশ্ক।।
এ দিল যাহা কিছু সদাই চাহে
দিলাম যাকাত খোদার রাহে
মিলিয়া ফকির শাহান্শাহে
এ ঈদগাহে গাহুক ইয়াহক্।
এনেছি শিরনি প্রেম পিয়ালার
এসো হে মোমিন কর হে ইফতার
প্রেমের বাঁধনে কর গেরেফ্তার
খোদার রহম নামিবে বেশক্।।
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক গানটি স্বরলিপি:
নজরুলগীতি:
নজরুলগীতি বা নজরুল সঙ্গীত বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত গান। তার সীমিত কর্মজীবনে তিনি ৩০০০-এরও বেশি গান রচনা করেছেন। এসকল গানের বড় একটি অংশ তারই সুরারোপিত। তার রচিত চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্বগগণে বাজে মাদল বাংলাদেশের রণসংগীত। তার কিছু গান জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে সংকলিত হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে গানের মালা, গুল বাগিচা, গীতি শতদল, বুলবুল ইত্যাদি। পরবর্তীকালে আরো গান সংগ্রন্থিত হয়েছে। তবে তিনি প্রায়শ তাৎক্ষণিকভাবে লিখতেন; একারণে অনুমান করা হয় প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের অভাবে বহু গান হারিয়ে গেছে। তার কিছু কালজয়ী গানগুলো হলো ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’, ‘চল চল চল’, ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ’ ইত্যাদি।
নজরুলের আবির্ভাব ও কর্মকাল রবীন্দ্রযুগের অন্তর্ভূত। তবু নজরুল রবীন্দ্রনাথের প্রভাব বলয়ের সম্পূর্ণ বাইরে থেকে গীত রচনা করেছেন ও সুরারোপ করেছেন। তিনি বাংলা গানে বিচিত্র সুরের উৎস। রবীন্দ্রনাথের মতো তিনিও একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার ও সুগায়ক। গানের সংখ্যায় তিনি রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি বহু নতুন সুরের স্রষ্টা। বিচিত্র সুর আর তালে তার গান নিত্য নতুন।
![ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক | Eid mubarak eid mubarak | নজরুল সঙ্গীত । কাজী নজরুল ইসলাম 4 Kazi Nazrul Islam [ কাজী নজরুল ইসলাম ]](/wp-content/uploads/2022/01/Kazi-Nazrul-Islam-22-300x200.jpg)
কাজী নজরুল ইসলাম:
কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।
তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজন্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন:
- কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী [ সংক্ষিপ্ত ] Kazi Nazrul Islam Biography [ Short ]
- আমাদের কাজী নজরুল ইসলামের গান [ Our covered songs of Kazi Nazrul Islam ]
- কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ তালিকা সূচি
- নজরুল সঙ্গীত, নজরুলগীতি বা নজরুলের গান সূচি
- শিরনামের অদক্ষর অনুযায়ী নজরুলের গানের তালিকা
- কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি – গুরুকুল লাইভ , GOLN