হিজ মাস্টারস ভয়েস এবং কাজী নজরুল: এইচএমভি (হিজ মাস্টার্স ভয়েস) সংগীত-বাণিজ্যে ৯২ বছরের ঐতিহ্যের অধিকারী রেকর্ড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের নামীদামি শিল্পীদের গান বা বাজনার রেকর্ড প্রকাশ করে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করাই ছিল এইচএমভির ব্যবসা। কিন্তু ইন্টারনেটের বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়মতো ব্যবসার রূপান্তর ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বছর ধরেই সংকটের মধ্যে আছে।
হিজ মাস্টারস ভয়েস এবং কাজী নজরুল । নজরুলের ভাবনা
হিজ মাস্টারস ভয়েসের সংক্ষিপ্ত নাম এইচ এম ডি (H MV) তৎকালীণ সময়ে HMV ছিল একটি প্রসিদ্ধ ক্যাসেট কোম্পানি। ১৯২৯ সালের প্রথম দিকে নজরুলের সাথে এ কোম্পানির যোগাযোগ ঘটে। এ যোগাযোগ পরবর্তীতে একটি সুন্দর সম্পর্কে পরিণত হয়।
অবশেষে ১৯৩৫ সালে কবি HMV-এর ” এক্সকুসিভ” কম্পোজার হিসাবে নিয়োগলাভ করেন। এ সময় কোম্পানির ট্রেইনার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁ। ১৯৩৯ সালের ২৬ নভেম্বর ধা সাহেবের মৃত্যুর পর কোম্পানি নজরুলকে ট্রেইনার হিসাবে নিয়োগ করেন। ১৯৩৫ সালে হতে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত কাজী নজরুল এ পদে কর্তব্যরত ছিলেন।
১৯৩১ সালে প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’র ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গৃহদাহ’ চলচ্চিত্রের সুরকার ছিলেন তিনি। গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৩ সালে পায়োনিয়ার ফিল্মস কোম্পানির প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’ এবং সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ১৯৩৭ সালের ‘গ্রহের ফের’ চলচ্চিত্রের।
১৯৩৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাতালপুরী’ চলচ্চিত্রের ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮ সালে নির্মিত ‘গোরা’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল। ১৯৩৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাপুড়ে’ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার ও সুরকার ছিলেন তিনি।
‘রজত জয়ন্তী’, ‘নন্দিনী’, ‘অভিনয়’, ‘দিকশূল’ চলচ্চিত্রের গীতিকার ছিলেন নজরুল। ‘চৌরঙ্গী’ চলচ্চিত্রের গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল। চৌরঙ্গী হিন্দিতে নির্মিত হলেও সেটার জন্য ৭টি হিন্দি গান লেখেন তিনি।
আরও দেখুনঃ