ব্যথা গরব কবিতা টি বিদ্রোহী কবি কাজী-নজরুল ইসলাম এর দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে । দোলনচাঁপা কবি কাজী-নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ ।এটি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) আর্য পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত হয়।

ব্যথা গরব কবিতা

দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণ:
১৯টি কবিতা পত্রস্থ হয়েছিল, সেগুলো হলো :
- আজ সৃষ্টিসুখের উল্লাসে
- দোদুল্ দুল্
- বেলাশেষে
- পউষ
- পথহারা
- ব্যথা গরব
- উপেক্ষিত
- সমর্পণ
- পুবের চাতক
- অবেলার ডাক
- চপল-সাথী
- পূজারিণী
- অভিশাপ
- আশান্বিতা
- পিছু-ডাক
- মুখরা
- সাধের ভিখারিণী
- কবি-রাণী
- আশা
- শেষ প্রার্থনা

পরবর্তী সংস্করণ:
দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণে ( শ্রাবণ ১৩৬১ বঙ্গাব্দ ) কবিতার অদলবদল করা হয়েছে। প্রথম সংস্করণের পউষ, পথহারা, অবেলার ডাক, পূজারিণী, অভিশাপ, পিছু-ডাক, কবি-রাণী কবিতাগুলি বাদ দিয়ে হংসদূতী, সে যে চাতকই জানে তার মেঘ এত কি, লাল নটের ক্ষেতে, মদালস ময়ূর-বীণা কার বাজে গান, না মিটিতে সাধ মোর বেণুকা, তোমার ফুলের মত মন, বরষা, ঐ নীল গগনের নয়ন-পাতায়, মাত্লা-হাওয়া, সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়, বনমালি, বেদনা-অভিমান, নিশীথ-প্রতিম, অ-বেলায়
, হার-মানা-হার, বেদনা-মণি, পরণ-পূজা, অনাদৃতা, নীলপরী, হেতু-ভীতু, অকরুণপিয়া, মরমী, মুক্তি-বার, বিরাগিনী, হারামণি, প্রিয়ার রূপ, পাপড়ি-খোলা, বিধুরা পথিক, প্রিয়া, প্রতিবেশিনী, বাদল-দিনে, মনের মানুষ, কার বাঁশি বাজিল, দহনমালা, দুপুর-অভিসার, শেষের গান, রৌদ্র-দগ্ধের গান, আলতা-স্মৃতি কবিতাগুলি সংযেজিত করা হয়েছে। এই কবিতাগুলি “ছায়ানটে”র অন্তর্গত ছিল।

কাজী নজরুল ইসলাম:
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।
আরও পড়ুন:
- পথহারা কবিতা । দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ । কাজী নজরুল ইসলাম | ১৯২৩
- পউষ কবিতা । দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ । কাজী-নজরুল ইসলাম | ১৯২৩
- বেলাশেষে কবিতা । দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ । কাজী-নজরুল ইসলাম | ১৯২৩
- দোদুল্ দুল্ কবিতা । দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ । কাজী-নজরুল ইসলাম | ১৯২৩
- সাম্যবাদী মরুভাস্কর কবিতা । মরুভাস্কর কাব্যগ্রন্থ । কাজী-নজরুল ইসলাম | ১৯২৬