কাজী নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের রচনার সংখ্যা । নজরুলের ভাবনা

কাজী নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের রচনার সংখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার।

১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের জন্ম দেন। এই দুটি হচ্ছে বিদ্রোহী কবিতা ও ভাঙ্গার গান সঙ্গীত। এগুলো বাংলা কবিতা ও গানের ধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। বিদ্রোহী কবিতার জন্য নজরুল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

 

কাজী নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের রচনার সংখ্যা

 

কাজী নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের রচনার সংখ্যা

নজরুলের গানের সংখ্যা চার হাজারের অধিক। নজরুলের গান নজরুল সঙ্গীত নামে পরিচিত।

১৯৩৮ সালে কাজী নজরুল ইসলাম কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন। সেখানে তিনটি অনুষ্ঠান যথাক্রমে ‘হারামণি’, ‘নবরাগমালিকা’ ও ‘গীতিবিচিত্রা’র জন্য তাকে প্রচুর গান লিখতে হতো। ‘হারামণি’ অনুষ্ঠানটি কলকাতা বেতার কেন্দ্রে প্রতি মাসে একবার করে প্রচারিত হতো যেখানে তিনি অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ও বিলুপ্তপ্রায় রাগরাগিণী নিয়ে গান পরিবেশন করতেন।

 

কাজী নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের রচনার সংখ্যা

 

নজরুলের প্রথম গদ্য রচনা ছিল “বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী”। ১৯১৯ সালের মে মাসে এটি সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সৈনিক থাকা অবস্থায় করাচি সেনানিবাসে বসে এটি রচনা করেছিলেন। এখান থেকেই মূলত তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটেছিল। এখানে বসেই বেশ কয়েকটি গল্প লিখেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে: “হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে”। ১৯২২ সালে নজরুলের একটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয় যার নাম ব্যথার দান- এছাড়া একই বছর প্রবন্ধ-সংকলন যুগবাণী প্রকাশিত হয়।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

কাজী নজরুল রচনা করেন একাধারে সঙ্গীত, কাব্য, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক । ফলে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির সর্বক্ষেত্রেই তাঁর বিচরণ রয়েছে।

(১) নজরুলের গান সংখ্যা ৩,৫০০-এরও বেশি।

(২) কবিতার সংখ্যা ১০০টি,

(৩) গল্প ১৮টি।

(৪) প্রবন্ধ ১০০টি।

(৫) নাটক ৫৫টি।

(৬) ছোট প্রবন্ধ ৫৫টি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment