কাজী নজরুল ইসলামের ২১ শে পদক । নজরুলের ভাবনা 

কাজী নজরুল ইসলামের ২১ শে পদক: ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ব্যাপক গণহত্যা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐ বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান শেখ মুজিবর রহমানের আমন্ত্রণের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভারত সরকার লোকপ্রিয় কবি নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে যাবার অনুমতি দেন-লক্ষ্য দুই দেশের মৈত্রী বন্ধনকে সূদৃঢ় করা।

 

কাজী নজরুল ইসলামের ২১ শে পদক

 

কাজী নজরুল ইসলামের ২১ শে পদক । নজরুলের ভাবনা 

১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।পরদিন ২৫ মে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কবির ৭৩তম জন্মদিবস পালন করা হয়।

কবির বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সরকারি আদেশ জারী করা হয়।

 

কাজী নজরুল ইসলামের ২১ শে পদক

 

বাংলাদেশের জনগণ কবিকে রাজকীয় সম্মান প্রদর্শনে করেন । কবির জন্য সম্পূর্ণ একটি দোতালা বাড়ি, একটি গাড়ি, ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য সকল রকম সেবা- শুক্রবার ব্যাপক বন্দোবস্ত করা হয়। কবির প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধায় তাঁরা তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করেন ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে তাকে ২১ শে পদকে ভূষিত করা হয়। ২১ শে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এইভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার কবিকে একান্তভাবে আপনজন করে নেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment