কাজী নজরুল ইসলামের কারাবাস । নজরুলের ভাবনা

কাজী নজরুল ইসলামের কারাবাসঃ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর ‘ধূমকেতু’র পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত নজরুলের কবিতা ১৯২০-এর দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন এক সময় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পরপর স্বরাজ গঠনে যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের আবির্ভাব ঘটে তাতে ধূমকেতু পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল।বিদ্রোহী কবিতাটি ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং সারা ভারতের সাহিত্য সমাজে খ্যাতিলাভ করে।

 

কাজী নজরুল ইসলামের কারাবাস

 

কাজী নজরুল ইসলামের কারাবাস । নজরুলের ভাবনা

 

‘আনন্দময়ী আগমনে প্রকাশের জন্যে ‘ধূমকেতু’র উক্ত সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত করে নজরুলের নামে গ্রেফতারীর পরোয়ানা জারী করা হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়প্রথম দিকে কিছুদিন কবি আত্মগোপন করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

 

কাজী নজরুল ইসলামের কারাবাস

 

১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দি প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দি বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে।

রাজদ্রোহের অপরাধে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি বিচারে কবির এক বছর সশ্রম কারদণ্ড হয়। নজরুলকে প্রথমে কিছুদিন আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখার পর হুগলী জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

এখানে যখন বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন তখন (১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি ২২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তার বসন্ত গীতিনাট্য গ্রন্থটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এতে নজরুল বিশেষ উল্লসিত হন। এই আনন্দে জেলে বসে আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতাটি রচনা করেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment