কাজী নজরুলের ৫টি কাব্যগীতির পরিচয়ঃ কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।
১৯৩৮ সালে কাজী নজরুল ইসলাম কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন। সেখানে তিনটি অনুষ্ঠান যথাক্রমে ‘হারামণি’, ‘নবরাগমালিকা’ ও ‘গীতিবিচিত্রা’র জন্য তাকে প্রচুর গান লিখতে হতো। ‘হারামণি’ অনুষ্ঠানটি কলকাতা বেতার কেন্দ্রে প্রতি মাসে একবার করে প্রচারিত হতো যেখানে তিনি অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ও বিলুপ্তপ্রায় রাগরাগিণী নিয়ে গান পরিবেশন করতেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি কোনো একটি লুপ্তপ্রায় রাগের পরিচিতি দিয়ে সেই রাগের সুরে তার নিজের লেখা নতুন গান পরিবেশন করতেন। এই কাজ করতে গিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম নবাব আলী চৌধুরীর রচনায় ‘ম আরিফুন নাগমাত’ ও ফার্সি ভাষায় রচিত আমীর খসরুর বিভিন্ন বই পড়তেন এবং সেগুলোর সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাগ আয়ত্ত করতেন। এসব হারানো রাগের ওপর তিনি চল্লিশটিরও বেশি গান রচনা করেন।

কাজী নজরুলের ৫টি কাব্যগীতির পরিচয়
নজরুল ইসলাম প্রবর্তিত ৫টি কাব্যগীতির পরিচয় নিম্নে প্রদত্ত হলো
(১)গানের বাণী এস প্রিয় মন রাঙায়ে
প্রকাশকাল : আগস্ট ১৯৪২
গ্রন্থ নজরুলসঙ্গীত (অখণ্ড)
সুরকার কমলদাশগুপ্ত
স্বরলিপি প্রকাশ: নজরুল স্বরলিপি ৪র্থ খণ্ড রেকর্ড নং এন ২৯০০২
শিল্পী : পারুল সেন
পর্যায় কাব্যগীতি
তাল: কাহারবা ।

(২) কে এলো ওরে কে এলো
প্রকাশকাল ১৯৩৩
গ্রন্থ নজরুল গীতি অখণ্ড
শিল্পী কে মল্লিক
রেকর্ড নং এন ৭০
পর্যায় : কাব্যগীতি
রাগ : হাম্বি কেনার
তাল : দ্রুত-একতাল ।

(৩) কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
প্রকাশকাল : আগস্ট ১৯৪৯ গ্রন্থ চোখের চাতক
স্বরলিপি সঙ্গীতাঞ্জলি
রেকর্ড নং- এন ৩১০৭০
শিল্পী: নন্দলালপুরী পর্যায় কাব্যগীতি
রাগ: ভৈরবী
তাল দাদরা

(৪) কে বলে গো তুমি আমার নাই
প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর-১৯৩৮
গ্রন্থ নজরুল গীতি (অর্থ)
রেকর্ড নং – এফ-টি ১২৫৩০
শিল্পী কল্যাণী চট্টপাধ্যায়
পর্যায় কাব্যগীতি
তাল কাহারবা
(৫) কেঁদে যায় দক্ষিণ হাওয়া
প্রকাশকাল : আগস্ট, ১৯৩২
গ্রন্থ : বনগীতি
রেকর্ড নং : এন ৯০১৮
শিল্পী : হরিমতি
পর্যায় : কাব্যগীতি
রচনা : সিন্ধু-ভৈবরী
তাল: দাদরা

