নজরুলের শিক্ষাজীবন এবং শিয়ারশোল রাজ হাইস্কুলঃ ১৯১০ সালে নজরুল লেটো দল ছেড়ে ছাত্র জীবনে ফিরে আসেন। লেটো দলে তার প্রতিভায় সকলেই যে মুগ্ধ হয়েছিল তার প্রমাণ নজরুল লেটো ছেড়ে আসার পর তাকে নিয়ে অন্য শিষ্যদের রচিত গান: “আমরা এই অধীন, হয়েছি ওস্তাদহীন / ভাবি তাই নিশিদিন, বিষাদ মনে / নামেতে নজরুল ইসলাম, কি দিব গুণের প্রমাণ”, এই নতুন ছাত্রজীবনে তার প্রথম স্কুল ছিল রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল, এরপর ভর্তি হন মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে যা পরবর্তীতে নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিতি লাভ করে।
নজরুলের শিক্ষাজীবন এবং শিয়ারশোল রাজ হাইস্কুল
ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার অন্তর্গত কাজীর সিমলা গ্রামের দরিরামপুর হাইস্কুলে ১৯১৪ সাল অতিবাহিত হবার পর ১৯১৫ সালে নজরুল আসানসোল মহুকুমাধীন রানীগঞ্জের নিকটস্থ শিয়ারশোল রাজ হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই স্কুলের নজরুল তার শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন। যদিও প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবার সৌভাগ্য তার হয়নি তবুও রাজ হাইস্কুলকে নজরুলের শিক্ষা জীবনের মূল অধ্যায় হিসাবে ধরে নেয়া হয়।
১৯১০ সালে তিনি রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল এবং পরে মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিন্তু শীঘ্রই তিনি আর্থিক সঙ্কটের কারণে পড়াশোনা ত্যাগ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনো করার পর তিনি আবার কাজে যোগ দেন এবং রান্নার কাজ শুরু করেন। পরে আসানসোলের বেকারি ও চায়ের দোকানে চাকরি নেন তিনি।
চায়ের দোকানে কাজ করার সময় তার পরিচয় হয় আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লাহ’র সাথে। দোকানে কাজ করার পাশাপাশি নজরুল কবিতা এবং ছড়া রচনা করতেন তা দেখে রফিজউল্লাহ মুগ্ধ হন। এবং ১৯১৪ সালে তিনি কবি নজরুল ইসলামকে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন।
পরবর্তীকালে ১৯১৫ সাল থেকে নজরুল আবার রানীগঞ্জে সিয়ারসোল রাজ স্কুলে চলে যান এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তিনি বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি সাহিত্য এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত অধ্যয়ন করেন।
আরও দেখুনঃ