কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমন । নজরুলের ভাবনা

কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমনঃ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

 

কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমন

 

কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমন । নজরুলের ভাবনা

 

নজরুল অসুস্থ হয়েছেন ১৯৪২ সালে এবং বাংলাদেশে তাঁকে নিয়ে আসা হলো ১৯৭২ সালে। কবিকে দান করা হলো পুরনো ২৮নং রোডের ৩৩০-বি ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বাড়িটি। যে বাড়িটিতে কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাখা হলো এবং যে বাড়ির নামকরণ করা হলো ‘কবিভবন’। প্রসিদ্ধ হয়ে উঠল দেশময় সে বাড়িটি। প্রসিদ্ধ হয়ে উঠল যে বাড়িটি ‘কবিভবন’ নামে।

 

কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমন

 

এটা সবাই জানেন, কাজী নজরুলকে যে সময় এ দেশে নিয়ে আসা হয় তার ত্রিশ বছর আগে থেকেই তিনি জীবনত অবস্থায় ছিলেন। এই জীবনত অবস্থায় তাঁর শেষ কটা বছর এই বাংলাদেশেই এইভাবে কাটবে এটা কি কবি স্বয়ং জানতেন কখনো? কবি কখনো যে উপলব্ধি করেছেন সেটা বড় কথা নয়, তবে বাংলাদেশে এসে তাঁর জীবনের শেষ চার বছর তিন মাস পাঁচ দিন কাটিয়েছেন এটা চিরসত্য।

কাজী নজরুলের বাংলাদেশে আগমন

এর মধ্যে তিন বছর এক মাস ঊনত্রিশ দিন কাটিয়েছেন ধানমণ্ডির ‘কবিভবনে’। এবং বাকী এক বছর এক মাস সাত দিন কাটিয়েছেন পিজি হাসপাতালে ১১৭ নং কেবিনে যার মধ্যে মৃত্যুর পূর্বে ছয় মাস এগার দিন কেটেছে তাঁর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ৫ ফাল্গুন ১৩৮২ বুধবার।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল তার একটি গানে লিখেছেন, “মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই / যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই”:- কবির এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তার সমাধি রচিত হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment