নজরুলের কাব্য ও সঙ্গীতে “বৃত্তানুপ্রাস” : একটিমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণ (ক) দুইবার ধ্বনিত হলে, (খ) বহুবার ধ্বনিত হলে, (গ) স্বরূপানুসারে ব্যঞ্জনগুচ্ছ অযুক্তবাবে দুইবার ধ্বনিত হলে এবং (ঘ) যুক্ত বা অযুক্ত ভাবে ব্যঞ্জনগুচ্ছ ক্রমানুষারে বহুবার ধ্বনিত হলে বৃত্তানুপ্রাস হয়। বহুবার ধ্বনিত হওয়া বলতে অলঙ্কারের ক্ষেত্রে দুইয়ের অধিকবার বুঝানো হয়। বৃত্তি বলতে আবৃত্তি (repetition) বুঝায়।
নজরুলের কাব্য ও সঙ্গীতে “বৃত্তানুপ্রাস” । নজরুলের ভাবনা
অনুপ্রাসের লক্ষ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি। সৌন্দর্য সৃষ্টি ব্যতীত অলঙ্কার হয় না। অনুপ্রাস প্রভৃতি শব্দালঙ্কার এবং উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা ও অন্যান্য অর্থালঙ্কারের প্রসঙ্গে একথা মনে রাখতে হবে।
একটি মাত্র ব্যঞ্জনবর্ণ দুইবার ধ্বনিত
(১) মলিন মাটির বন্ধনে বাঁধা হায় অসহায় তরু। (বাতায়ন-পাশে গুবাক তরুর সারি) ম, ন, ব ওহ দুইবার ধ্বনিত হয়েছে।
(২)যত গান গাহিয়াছি ফুল-ফোটা রাতে। (১৪০০ সাল) ত, গ ও ফ
(৩) বকুল বাগানে মম ফুরায়েছে ফুলের মরসুম। (গানের মালা) ব ও ফ
(8) ফুল ফোটে না যে কাননে, কানে দখিন হাওয়া। (সন্ধ্যামণি) ফ ক ও দ বাঁশী বাজায় কে কদমতলায় ওগো ললিতে। (অখণ্ড নজরুল-গীতি) ব, ক ও ত
(৫) চমকে চপলা, মেঘে মগন গগন (,) চ ও ন
(৬)ভুলিয়া ভুবন দুলিৰ দুজন বাঁধি প্রেম-হিন্দোলা। (…) ড. মওদ
(৭) আজি এ বাদল দিনে কত কথা মনে পড়ে। (, ) দ ন ও ক
(৮) কুসুমে কীট বাসা বাঁধে। (,) দ ন ও ক
(৯) নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মৃতি। (,,) ন, ব ও ত
(১০) তোমার গানে পরশ তব পাই। (,) ত, র ওপ
(১১) মেঘ মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পবন। (,) ম, দ ও ন
(১২)কেন করুণ সুরে হৃদয়-পুরে বাজিছে বাঁশরী (, ) ক, ব
(১৩) সকল কাজে জাগে শুধু অধীর আনন্দ । (,) ক, জ, ও ধ
(১৪) তব কঠিন হিয়ার তলে জাগে কি গভীর ভালোবাসা। (,) ত. ক, ল, ভ, ব ও গ
(১৫) বন্ধনে যে বাঁধা আমি মলিন মাটীর পুরে। (“) ব, ন ও র
আরও দেখুনঃ