কাজী নজরুলের কাণ্ডারী হুঁশিয়ার

কাজী নজরুলের কাণ্ডারী হুঁশিয়ার নিয়ে আজকের আলোচনা। একটি ভাষার বুকে যিনি এত বড় প্রত্যয় গেঁথে দিতে পারেন, একটি জাতিকে তিনি দেখাতে পারেন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন তাঁর একটা স্বাধীন ভূখণ্ড থাকবে না বা নিজস্ব আইডেনটিটি থাকবে না, তা হতে পারে না। তাই রিভাইভ্যালিজমের অগ্রগতির ইতিহাসে নজরুল-পুষ্ট রেনেসাঁসের শক্তিও কম ছিল না, তা প্রমাণিত হয়।

 

কাজী নজরুলের কাণ্ডারী হুঁশিয়ার

 

কাজী নজরুলের কাণ্ডারী হুঁশিয়ার

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭১ সাল বাংলা ভাষা ও বাঙালি মুসলমানকে নিয়েছে একটি নিজস্ব আইডেনটিটি। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বাঙালি মুসলমান উত্তীর্ণ হয়েছে তার প্রতাশিত স্বদেশে। মনে রাখতে হবে বাংলা ভাষার এই তুফান জয়ী তরুণীর প্রধান কাণ্ডারী ছিলেন নজরুল। কতরকম সঙ্কট ঘনিয়ে উঠেছিল বাঙালি মুসলমানের যাত্রাপথে। পশ্চাৎপদ যাত্রীর মনে জেগেছিল কতরকম সন্দেহ।

 

গিরি সঙ্কট, ভীরু যাত্রীরা, গুরুগরজায় বাজ,
পশ্চাৎপথ যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ।
কাণ্ডারী। তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যাজিবে কি পথ মাঝ?
করে হানাহানি তবু চল টানি, নিয়াছ যে মহাভারত।
দুলিতেছে তরী ফুলিতেছে জল ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ভুঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

Leave a Comment