কাজী নজরুলের শেষ ভাষণঃ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর মোতাবেক ১৩৪৭ সালের ৮ পৌষ সোমবার কলকাতা মুসলিম ছাত্র সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, “আপনারা জেনে রাখুন, আল্লাহ ছাড়া আর কিছুর কামনা আমার নেই।”
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ বনগা সাহিত্য সভার চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলনে ডেকেছেন সাহিত্য সম্বন্ধে আমার বক্তব্য শোনার জন্য Mystic তত্ত্ব শোনার জন্য নয় ৷ কিন্তু আপনাদের দেরী হয়ে গেছে। দুদিন আগে যেমন করে যে ভাষায় বলতে পারতাম সে-ভাষা আজ আমি ভুলে গেছি।”
কাজী নজরুলের শেষ ভাষণ । নজরুলের ভাবনা
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল কলকাতা মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির রজত জুবলী উৎসবের নজরুল তাঁর জীবনের শেষ অভিভাষণে বলেন, “যদি আর বাঁশী না বাজে, আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন; মনে করবেন পূর্ণত্বের তৃষ্ণা নিয়ে যে একটি অশান্ত তরুণ এই ধারায় এনেছিল অপূর্ণতার বেদনায় তারই বিগত আত্মা যেন স্বপ্নে আপনাদের মাঝে কেঁদে গেল।”
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তার অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরূপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর তাকে মূলত হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে তার অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি।

সেই সময় তাকে ইউরোপে পাঠানো সম্ভব হলে নিউরো সার্জারি করা হত। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। এরপর নজরুল পরিবার ভারতে নিভৃত সময় কাটাতে থাকে। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তারা নিভৃতে ছিলেন।
আরও দেখুনঃ