কাজী নজরুলের উপন্যাস । নজরুলের ভাবনা

কাজী নজরুলের উপন্যাসঃ উপন্যাস-রচনার ক্ষেত্রে নজরুল বিশেষ কোনো কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হননি। ‘বাঁধন হারা’ নজরুলের প্রথম উপন্যাস এবং বাঙালা সাহিত্যের প্রথম প্রকৃত পত্রোপন্যাস। এটি ১৩২৭ সালের (১৯২০) বৈশাখ মাস থেকে ‘মোসলেম ভারতে’ ধারাবাহিকভাবে প্রথম বের হয় পুস্তকাকারে এর প্রথম প্রকাশ শ্রাবণ, ১৩৩৪ (১৯২৭)। গ্রন্থটি সুরসুন্দর নলিনীকান্ত সরকারকে উৎসৃষ্ট।

 

কাজী নজরুলের উপন্যাস । নজরুলের ভাবনা

 

কাজী নজরুলের উপন্যাস । নজরুলের ভাবনা

“বাঁধন হারা পত্রোপন্যাস। বাঁধন হারা নজরুল রচিত প্রথম উপন্যাস। করাচিতে থাকাকালীন তিনি ‘বাঁধন হারা’ উপন্যাস রচনা শুরু করেন। মোসলেম ভারত পত্রিকায় বাঁধন হারা-র প্রথম কিস্তি এবং ১৯২১ সালে (১৩২৭ বঙ্গাব্দ) ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।

মোসলেম ভারতের জৈষ্ঠ সংখ্যার সমালোচনা-প্রসঙ্গে ‘নারায়ণ’ মাসিক পত্রিকা (ভাদ্র ১৩২৭)-য় লেখা হয়-

“বাধন হারা” বড় উপভোগ্য। তাহাতে বিবাহত্তর বড় সরস অতিবাহিত দ্বিপদ, বিবাহিত চতুষ্পদ। ‘বাধন-হারা’র বর্ণনাটি খাটি কবিত্বে উজ্জ্বল ও মোহনীয়। মাঝখানে মায়ের স্নেহাশ্রুমাখা আদরের চিঠিখানি বেশ। তারপর করাচির বর্ণনাটিতে যৌবন জলতরঙ্গ আছে উপমাগুলি মনমাতান।”

 

কাজী নজরুলের উপন্যাস । নজরুলের ভাবনা

 

মৃত্যুক্ষুধা কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি সওগাত পত্রিকায় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাস থেকে ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাস পর্যন্ত ‍ধারাবাহিক ভাবে মুদ্রিত হয়। গ্রন্থাকারে এটি ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। বলা হয়েছে “মৃত্যুক্ষুধা“ কাজী নজরুলের ইসলামের “কালজয়ী” উপন্যাস। আরো বলা হয়েছে এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সাম্যবাদী চেতনার উপন্যাস।

 

কাজী নজরুলের উপন্যাস । নজরুলের ভাবনা

 

১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক নওরোজ পত্রিকায় “কুহেলিকা” উপন্যাসের প্রথম অংশ প্রকাশিত হয়। তার কিছুদিন পর নওরোজ বন্ধ হয়ে গেলে সওগাত পত্রিকায় তা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯৩১ সালে এটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নজরুলের রাজনৈতিক আদর্শ ও মতবাদ প্রতিফলিত হয়েছে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

নজরুল কবি-মানসের অন্যতম প্রতিনিধি হিসাবে নূরুল-চরিত্রের কতকটা সার্থকতা থাকলেও ‘বাধন-হারা’ উপন্যাসের নায়ক চরিত্ররূপে এটি রসোত্তীর্ণ নয়। নুরুলচরিত্রে কোনো বিবর্তন বা ক্রমবিকাশ নেই। দ্বন্দ্ব-সংঘাত-মুখর ঘটনাস্রোতের মধ্য দিয়ে এই চরিত্র কোনো বিশেষ পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়নি। উপন্যাসের প্রথম বাধন হারা নুরুলের যে পরিচয়, উপন্যাসের শেষেও তার কোনো রূপান্তর নেই।

কাজী নজরুলের উপন্যাস

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment