নজরুলগীতি বা নজরুল সঙ্গীত বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত গান। তার সীমিত কর্মজীবনে তিনি ৩০০০-এরও বেশি[১] গান রচনা করেছেন। এসকল গানের বড় একটি অংশ তারই সুরারোপিত।
তার রচিত চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্বগগণে বাজে মাদল বাংলাদেশের রণসংগীত। তার কিছু গান জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে সংকলিত হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে গানের মালা, গুল বাগিচা, গীতি শতদল, বুলবুল ইত্যাদি। পরবর্তীকালে আরো গান সংগ্রন্থিত হয়েছে। তবে তিনি প্রায়শ তাৎক্ষণিকভাবে লিখতেন; একারণে অনুমান করা হয় প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের অভাবে বহু গান হারিয়ে গেছে।
তার কিছু কালজয়ী গানগুলো হলো ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’, ‘চল চল চল’, ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ’ ইত্যাদি।
নজরুলের গানে অন্য সুরকার । নজরুলের ভাবনা
বাংলাগানকে যারা অলংকৃত করেছেন তাদের মধ্যে নজরুল একজন সার্থক রূপকার। গানের বৈচিত্র্যতার ক্ষেত্রে নজরুল ইসলামের মতো আর কেউ গানের মালা দিয়ে বাঙালি সর্বশ্রেণীর শ্রোতাকে সুরের মায়ায় জড়াতে পেরেছেন তেমনটি মনে হয় না। তাইতো সুরের অববাহিকায় নজরুল ধারণ করেছিলেন অন্য সুরকারের সুর ।
নজরুল সঙ্গীতের বৈচিত্র্যতার বিশেষ একটি কারণ অন্য সুরকারদের সমন্বয়। নজরুলের গানে যারা সুর করেছেন তাদের মধ্যে কমল দাশ গুপ্ত, চিত্তরায়, নিতাই ঘটক, অনিল ভট্টাচাৰ্য্য, কে মল্লিক, সুবলদাশ গুপ্ত, শৈলেশ গুপ্ত, সুখময় গাঙ্গুলী, ধীরেন দাস, ধীরেন মিত্র, সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়, জ্ঞান দত্ত, পঙ্কজ মল্লিক, কৃষ্ণচন্দ্র দে, সুবল দাস গুপ্ত অন্যতম।
যেমন (১) কমলদাশ গুপ্ত : আমার সকল আকাশ ভরল
(২) অনিল ভট্টাচার্য্য : আয় ঘুম আয়।
আরও দেখুনঃ