স্বাগত প্রবন্ধ [ দুর্দিনের যাত্রী ] কাজী নজরুল ইসলাম : ‘খোশ-আমদেদ!’ স্বাগত হে দেশবন্ধু! হে বীরেন্দ্র! তোমাদের এই তিমির রাত্রির অবসানে আমরা আমাদের স্বাগত সম্ভাষণ জানাচ্ছি। তোমরা ফিরে এসো এই বাংলার শ্মশানে।
“বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান!”
এসো ঋত্বিক, উচ্চারণ করো শব-সাধনার মন্ত্র। এই শবের মাঝে শিব জাগাতে হবে। পারবে? – তবে এসো। এই নাও মড়া, এই ধরো নর-কঙ্কাল – স্তূপে স্তূপে সাজানো। আর কী চাও ঋষি?
[ স্বাগত প্রবন্ধ [ দুর্দিনের যাত্রী ] কাজী নজরুল ইসলাম ]
ওই দেখো শৃগাল, ওই দেখো কুক্কুর – ওই দেখো শকুন – মড়ার পচা মাংস নিয়ে টানাটানি খাওয়া-খাওয়ি করছিল। জ্যান্ত মানুষের সাড়া পেয়ে পালিয়ে গেল। ওই দেখো. শ্মশানে নাচছে ভূত-প্রেত-ডাকিনী-যোগিনী, – এই ভূতে-ভরা শ্মশানে এসে তোমাদেরও যেন ভূতে না পায় – সাবধান ঋষি! তোমরা ছিলে অন্ধকারের শান্তিতে, স্নিগ্ধ কালো অন্ধকার তোমাদের মায়ের মতো কোলে করে রেখেছিল। এখন এলে শ্মশানের বিকট অট্টহাসি, করুণ আর্তনাদ আর প্রলয়-নৃত্যের ভীম কোলাহলের মাঝে।
আরও পড়ুন:
- বিদ্রোহী কবিতা । অগ্নিবীণা । কাজী-নজরুল-ইসলাম
- ব্যথার দান : বেদৌরার কথা : বোস্তান
- মরা কাউয়া | হক সাহেবের হাসির গল্প | কাজী-নজরুল-ইসলাম
- রুবাইয়াত্-ই-ওমর খৈয়াম | অনুবাদ । কাজী-নজরুল-ইসলাম
- বাঙালিদের জাতীয় পরিচয় নির্মাণে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য : প্রধানমন্ত্রী