ইংরেজি ১৯১২ কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে এক বর্ধিষ্ণু সঙ্গীত শিল্পী পরিবারে কমল দাসগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তাঁর সঙ্গীত শিক্ষার হাতে খড়ি। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত্রি পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে গান বাজনার আসর বসত। সেই জন্যই কমলের অন্যান্য ভাইবোনেরা সঙ্গীতে পারদর্শিতা অর্জন করেন।
কমল দাসগুপ্ত । শিল্পী জীবনী
খুব অল্প সময়েই গ্রামোফোন কোম্পানী তাঁদের গান রেকর্ড করে। কমলও তাঁর ভাইবোনের পথ অনুসরণ করেন । তিনি খেয়াল এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত, অতুলপ্রসাদ ও দ্বিজেন্দ্রলালের গান শেখেন। যথাক্রমে বড়দা বিমল দাসগুপ্তও দিলীপ কুমার রায়ের কাছে এবং বাবার কাছ থেকে প্রভাতী গানের শিক্ষা পান।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, তাঁর তিন ভাই ছিলেন সুখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক। বড়দা বিমল দাসগুপ্ত পরিচিত ছিলেন, “প্রফেসর বিমল দাসগুপ্ত” নামে তিনি সঙ্গীতজ্ঞ ছাড়াও একধারে ছিলেন ম্যাজিসিয়ান ও কমেডিয়ান। সেই সময় কলকাতার অনেক নামকরা শিল্পীল সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ পরিচয় ছিল। এই রকম সঙ্গীতময় পরিবেশে, মাত্র ১১/১২ বছর বয়সেই সুকণ্ঠের অধিকারী কমল, পরিচিত হন “মাষ্টার-কমল’ নামে।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন তাঁর গুণগ্রাহী ও পৃষ্ঠপোষক। এই প্রসঙ্গে কমল বাবুর স্বীকৃতি-‘সকলে যখন আমার বিরুদ্ধে তখন কাজীদাই আমার একমাত্র সহায়। প্রকৃত গুণের প্রশংসা করতে বা নতুনকে উৎসাহ দিতে তিনি কখনও কুণ্ঠাবোধ করতেন না”। (নজরুল গীতি অন্বেষা ) প্রখ্যাত নজরুল সঙ্গী গায়িকা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
ইংরেজি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই ৬২ বছর বয়সে ঢাকায়, সঙ্গীত জগতের এই প্রতিশ্রুতিবান শিল্পী ও সুরকারের জীবনাবসান ঘটে।
আরও দেখুনঃ